কিষান বিকাশ পত্র (Kisan Vikas Patra) : কৃষকদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সরকার পোস্ট অফিসের তরফ থেকে এই পরিকল্পনাটির সূচনা করেন। বর্তমান সময়কালে কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের টাকা দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে এই পরিকল্পনাটিতে। কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে পাওয়া কিষান বিকাশ পত্র আপনার জন্য একটি লাভজনক পরিকল্পনা হতে পারে। পোস্ট অফিসে টাকা সঞ্চয়ের জন্য বর্তমানে অনেক পরিকল্পনা আছে তার মধ্যে এই পরিকল্পনাটি খুব জনপ্রিয়।
-
কিষান বিকাশ পত্র / Kisan Vikas Patra (KVP) :
কেন্দ্র সরকার দ্বারা ১৯৯৮ সালে কিষান বিকাশ পত্রের সূচনা হয়। পরবর্তীকালে ২০১১ সালে এই পরিকল্পনাটি বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু ২০১৪ সালে এই পরিকল্পনাটি আবার চালু হয়। কিষান বিকাশ পত্র মাত্র ১১৫ মাসে আপনার বিনিয়োগ করা টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার সুযোগ দেয়। প্রাপ্তবয়স্ক যেকোনো ভারতীয় এই পরিকল্পনাটিতে বিনিয়োগের আবেদন করতে পারে। আবার কোনো নাবালকের নামে তার অভিভাবক এই পরিকল্পনাটিতে বিনিয়োগের আবেদন করতে পারে।
-
KVP-তে আবেদন করার পদ্ধতি :
কিষান বিকাশ পত্র (Kisan Vikas Patra) নামের এই পরিকল্পনাটিতে আবেদন করা খুব সহজ। আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে পোস্ট অফিস থেকে এই পরিকল্পনার ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। তারপর সেই ফর্ম সঠিক ভাবে ফিলাপ করে পোস্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
-
KVP-তে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট :
কিসান বিকাশ পত্রে (Kisan Vikas Patra) আবেদন করার জন্য প্রয়োজন ডকুমেন্ট হলো –
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- বাসস্থানের প্রমাণপত্র
- জন্ম সার্টিফিকেট
- ইমেইল আইডি
- মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি।
কত সুদ পাবেন :
এই পরিকল্পনায় মাত্র ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ যত খুশি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। বর্তমানে সুদের পরিমাণ হল ৭.৫% শতাংশ। আরো সহজ ভাষায় বললে, ২০২৪ সালে কিষান বিকাশ পত্র (Kisan Vikas Patra) নামের পরিকল্পনায় আপনি যত টাকা রাখবেন সেই টাকার উপর আপনি ৭.৫ শতাংশ সুদ পাবেন।
-
Disclaimer :
- এই ব্লগ পোস্টটি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক এবং সাধারণ তথ্য সরবরাহের জন্য নির্মিত হয়েছে।
- পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করা খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না হলেও নিজের ঝুঁকিতেই বিনিয়োগ করুন।
- উপরের প্রদত্ত সকল তথ্য একক ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত।
- এই ব্লগটি কোনও অর্থনৈতিক পরামর্শ বা বিনিয়োগের জন্য সুপরিসর প্রদান করেনা।
- বিনিয়োগের পর কোনরূপ ক্ষতি হলে, সেই ক্ষতির জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইট দায়ী নয়।